মামুনের জবানবন্দি
পারিবারিক কলহের জেরে আত্মহত্যা করেন খায়রুন

প্রকাশিত: ১২:১৩ অপরাহ্ণ, আগস্ট ১৬, ২০২২

<span style='color:#ff0000;font-size:20px;'>মামুনের জবানবন্দি </span> <br/> পারিবারিক কলহের জেরে আত্মহত্যা করেন খায়রুন

নিউ সিলেট ডেস্ক: বহুল আলোচিত নাটোরের কলেজ শিক্ষিকা খাইরুন নাহারের মৃত্যু পারিবারিক কলহের জেরে আত্মহত্যা করেছেন বলে জানিয়েছেন স্বামী মামুন হোসেন। গতকাল সোমবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে মামুনকে নাটোর জেলা দায়রা জজ আদালতে তোলা হলে তিনি এ কথা আদালতকে জানিয়েছেন। এ সময় মামুনের জামিন আবেদন করলে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. মোসলেম উদ্দীন তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
এদিকে নাটোরের পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মামুন তাদের দাম্পত্য কলহের কথা স্বীকার করেছেন। মামুন জানান, ঘটানার দিন শনিবার রাত ২টায় স্বামী-স্ত্রীর ঝগড়া হলে তিনি খাইরুনকে লাথি মেরে বাইরে চলে যান। পরে খাইরুন নাহার বেশ কয়েকবার ফোন করলেও মামুন ফোন রিসিভ করেননি। এতে ক্ষোভে খাইরুন নাহার আত্মহত্যা করেন বলে জানান মামুন। ওইদিন রাত ২টা থেকে ৬টা পর্যন্ত শহরের বিভিন্ন স্থানে মামুনের ঘোরাঘুরির তথ্য পেয়েছে পুলিশ। পর দিন রোববার সকাল ৭টার দিকে শহরের বলারিপাড়া এলাকার ভাড়া বাসা থেকে খাইরুন নাহারের মরদেহ উদ্ধারের পর মামুনকে আটক করা হয়।
স্থানীয়রা জানান, শনিবার রাত ৩টার দিকে মামুন তাদের ডেকে বলেন, তার স্ত্রী খায়রুন গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। এলাকাবাসী ছুটে গিয়ে ঘরের মেঝেতে শোয়ানো অবস্থায় খায়রুনের মরদেহ দেখতে পান। এ ঘটনায় সন্দেহ হলে এলাকাবাসী মামুনকে আটকে রেখে পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে। পরে মামুনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে নিয়ে যায়।
ওইদিন বাসার কেয়ারটেকার নাজিম উদ্দিন জানান, ‘রাত দুইটার দিকে মামুন বাসা থেকে বের হয়ে তিনটার দিকে বাসায় ফিরে সবাইকে ডাকাডাকি করে বলেন, তার স্ত্রী গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। পরে সবাই ঘরে ঢুকে মেঝেতে মরদেহ শোয়ানো অবস্থায় দেখতে পায়।
উল্লেখ্য, প্রথম স্বামীর সঙ্গে বিয়ে বিচ্ছেদের পর এক ছেলেকে নিয়ে নিজ বাড়িতেই থাকতেন খায়রুন। ফেসবুকের মেসেঞ্জারে ২০২১ সালের ২৪ জুন মামুনের সঙ্গে পরিচয় হয় খাইরুন নাহারের। পরিচয়ের ছয় মাস পর গত বছরের ১২ ডিসেম্বর কাজী অফিসে গিয়ে গোপনে তারা বিয়ে করেন। খাইরুন নাহার গুরুদাসপুরের খুবজিপুর এম হক ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক ছিলেন। তার স্বামী মামুনের বাড়ি উপজেলার ধারাবারিষা ইউনিয়নের পাটপাড়া গ্রামে। আট মাস আগে তারা বিয়ে করলেও সম্প্রতি এই বিয়ে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ আলোচনা হয়।

 



এ সংবাদটি 133 বার পড়া হয়েছে.
Spread the love
        
 
    

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

সর্বশেষ শিরোনাম

অনুসন্ধান ক্যালেন্ডার

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০১১১২১৩
১৪১৫১৬১৭১৮১৯২০
২১২২২৩২৪২৫২৬২৭
২৮২৯৩০৩১